Monday, April 1, 2024

চরফ্যাশনে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন রাজ মিস্ত্রী বেল্লাল!




চরফ্যাশনে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন রাজ মিস্ত্রী বেল্লাল!

এইচ এম হাছনাইন, ভোলা প্রতিনিধি
চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের কুলছুমবাগ গ্রামের বেল্লাল হোসেন রাজ মেস্ত্রীর করে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা উত্তির্ণ হয়েছে। জেলা প্রশাসক তাকে ৫০হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন।
 তথ্য সূত্রে জানা যায়, কুলসুমবাগ গ্রামের দিনমজুর শাহেদ আলী ও জি-এর কাজ করা তাছনুর বেগমের ৪ ভাই-বোনের মধ্যে বেলাল তৃতীয়। তার বাবা শাহেদ আলী বলেন, বেল্লাল ৬মাস রাজ মেস্ত্ররী কাজ করতেন আর ওই খরচ দিয়ে ৬মাস পড়া-লেখা করত। আমার সংসারে মোট ৬জন সদস্য তাদের ভরন পোষন দিয়ে ছেলের পড়া-লেখার খরচ চালানো সম্ভাব হয়নি। রাজ মেস্তরী কাজ করার সময় সে বই নিয়ে যেত। খাওয়ার সময় আগে ও পরে কাজের ফাকে একটি জায়গায় বসে বই পড়তেন।
সে কুচিয়া মোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে জিপিএ ৪.৮৩, এ মোতালেব মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে জে এসসি ও এসএসসি পরীক্ষা জিপিএ-৫ পেয়ে চরফ্যাশন সরকারি কলেজ থেকে এইচ এসসি জিপিএ-৫ অর্জন করেন। চলতি বছরে পাবনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা উত্তির্ণ হয়েছেন। মেডিকেল মেরিট স্কোর-২৬৯.৫ পজিশন ৩৭১৩।
মেডিকেলে উত্তীর্ণ বেল্লাল হোসেন বলেন, আমার প্রথম স্বপ্ন ছিল সেনাবাহিনীতে চাকুরী করবো। সেটা যখন হয়নি তার পরেই স্বপ্ন বাসা বাধঁছে ডাক্তার হব। আমি ডাক্তার হয়ে গ্রামের অসহায় পরিবারের সেবা করাই আমার লক্ষ্য। আল্লাহর কাছে আমি শোকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি আমার শ্রদ্ধাবাজন শিক্ষক ও দারিদ্র মা-বাবার কাছে। তাদের পরিশ্রমের ফসল হিসাবে আমার আজ মেডিকেলে ভর্তির সুভাগ্য। আমি আরো ধন্যবাদ জানাই ভোলা জেলা প্রশাসক মহিদুজ্জামান স্যারকে তিনি সংবাদ শুনে আমাকে ৫০হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেছেন। এতে আমি উৎসাহিত হয়ে পড়া লেখা আগ্রহ প্রকাশ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই ছাড়াও সমাজে বেশ কয়েকজন আমাকে অর্থ দিয়ে ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছি আল্লাহ যেন আমাকে ডাক্তার বানিয়ে দারিদ্র পরিবারের সেবা দিতে পারি।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: