Sunday, March 17, 2024

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় ইউপি সদস্যের স্বামীর ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল

 




ভোলার পশ্চিম ইলিশায় ইউপি সদস্যের স্বামীর ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল



ভোলা সদর উপজেলা ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনে ইউপি সদস্য হোসনেয়ারা বেগমের স্বামী এফজাল হোসেন সোহেলের (৩৭) ইয়াবা সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে ফেসবুকে ইয়াবা সেবনের ছবি প্রকাশের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে।সোহেল ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের ৩নম্বর ওয়ার্ডের মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে। তাঁর রোম্মান ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে। তাঁর প্রথম স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম ২০২২ সালে ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত নারী আসন থেকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সোহেল ইয়াবার ব্যবসা ও সেবন করে আসছে। তার কারণে এলাকার যুবসমাজ আজ ধ্বংসের মুখে।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে সৈয়দ লাহিড়ী বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, সৈয়দ লাহিড়ী বাজারে সোহেলের একটি অফিস আছে। অফিসটি দোতলা। ওই অফিসটি বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। এছাড়াও অফিসটিতে গোপনীয় দরজা রয়েছে। সেই অফিসে বসে তিনি ইয়াবা সেবন করেন। ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো সেই অফিসের। তিনি যখন ইয়াবা সেবন করতেন, তখন অফিসের সকল দরজা তালা মেরে রাখতেন। বাহির থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ তাকে ধরতে আসলেও তিনি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সবকিছু দেখতেন।  নামে প্রকাশ না করার শর্তে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য জানান, সোহেল খুব কৌশলে মাদক সেবন করেন। মাদক সেবনের পাশাপাশি তিনি মাদক সাপ্লাইও করেন। কক্সবাজার এবং টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে তিনি তা বরিশাল ও চরফ্যাশনে সাপ্লাই দেন। ঠিকাদারি কাজের আড়ালে তিনি মাদক সাপ্লাই করে আজ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।  এ বিষয়ে জানতে এফজাল হোসেন সোহেল বাঘার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ইয়াবা সেবনের ছবিটি তাঁর তা স্বীকার করে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ইয়াবা যখন তিনি সেবন করেছিলেন। তখন কে বা কারা তাঁর ছবি তুলেছিল, তা তিনি জানেন না। এই বিষয়ে তিনি নিউজ না করতেও সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।  জানতে চাইলে ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জহির জানান, সোহেলের ইয়াবা সেবনের বিষয়টি তিনি জানেন না।  ভোলা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর অফিসার ইনচার্জ মো. এনায়েত হোসেন জানান, ডিবি পুলিশ গোপনে তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: