Tuesday, September 17, 2024

তজুমদ্দিনে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত


 তজুমদ্দিনে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত 


এইচ এম হাছনাইন, তজুমদ্দিন ভোলা প্রতিনিধি 

এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সকাল ১০ ঘটিকায় পতাকা মিছিল করেছে তজুমদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ। সম্প্রতি নার্সিং পেশা ও নার্সদের নিয়ে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের করা এক বক্তব্য ঘিরে এই আন্দোলন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারের কর্মসূচি পালন করেন তারা।


নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্টার পদ থেকে নন-নার্স প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের অপসারণ-পূর্বক উক্ত পদগুলোতে উচ্চশিক্ষিত, দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্সদের নিয়োগ দিতে এক দফা দাবিতে এ মিছিল করে তারা।


এতে বক্তারা তাদের এক দফা দাবি পূরণের জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। আন্দোলনকারী নার্সরা জানান, আগে এই দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও ১২ সেপ্টেম্বর পুণরায় একজন নন-নার্স প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার পদে পদায়ন করা হয়েছে, যা নার্সদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।


কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে ছাড়াও এদিন দেশব্যাপী সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নার্সরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।



সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে নার্সদের অভাবে রোগীদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হতে পারে, যা দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যখাতের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় দেখে আনতে পারে।


কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তজুমদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বরে পতাকা মিছিল শেষে বক্তব্য দেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের সদস্যরা।


এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর নার্সদের পেশাক নিয়ে কটূক্তি করেন। যেখানে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়াকে ‘ভুল’ বলে উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু হয় নার্সদের।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: