ভোলা জেলার ৫ উপজেলার ১৪ গ্রামে ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপন পালিত হয়েছে
এইচ এম হাছনাইন, ভোলা প্রতিনিধি
বাংলাদেশে আগামী ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার সৌদি আরবে সাথে মিল রেখে একদিন আগে ১০ এপ্রিল বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে।
এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা টবগী গ্রামে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন শরিয়তপুরের নুরিয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরিফের পীরের ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা মজনু মিয়া। মজনু মিয়া জানান, ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রতনপুর গ্রাম; বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রাম; তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর, খাসেরহাট, চাঁদপুর ও চাঁচড়া গ্রাম; লালমোহন উপজেলার পৌর শহর, ফরাজগঞ্জ গ্রাম এবং চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, দুলারহাট, ঢালচর ও চর পাতিলা গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার প্রতি বছর একদিন আগেই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছে।
খলিফা মজনু মিয়ার নিজ বাড়ির আঙিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তজুমদ্দিন উপজেলার ছালাম মেম্বার বাড়ি, আব্দুল্লাহ মাঝি বাড়ি, লালমোহন উপজেলার লাঙ্গলখালীর পশ্চিম পাশে পাটোয়ারী বাড়ির জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রামের চৌকিদার বাড়ির জামে মসজিদে সকাল ৯টায় এবং পঞ্চায়েত বাড়ির জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নুরিয়া উপজেলা দরবারে আউলিয়ার সুরেশ্বর দরবার পীরের মুরিদ ও ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা মজনু মিয়া জানান, জেলার ৫ উপজেলার ১৪ গ্রামের শরিয়তপুরের সুরেশ্বর পীরের মুরিদ, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভান্ডারি শরিফ পীরের প্রায় তিন হাজার পরিবারের এসব সদস্যরা অনেক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন।
যে কয়টি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রতিটি এলাকায় নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলো।
ঈদের নামাজ আদায় করা শেষে তারা নিজেদের মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
0 coment rios: