Wednesday, March 20, 2024

তজুমদ্দিনের চরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, পরিবারের অভিযোগ হত্যা, আটক-১

তজুমদ্দিনের চরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, পরিবারের অভিযোগ হত্যা, আটক-১



তজুমদ্দিনের চরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, পরিবারের অভিযোগ হত্যা, আটক-১ এইচ এম হাছনাইন, তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ভোলার তজুমদ্দিনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরমোজাম্মেলে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের দাবী তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ১৯ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে চরমোজাম্মেলের দুলাল বাজার এলাকার জুয়েলের বসত ঘর হতে পুলিশ আকসা ওরফে ইকরা (২১) নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় নিহতের স্বামী জুয়েল (২৭), শাশুড়ী মোর্সেদা (৫৫), ভাশুর সোহেল (২৯) ও জা- আরজু (২৩) কে আসামী করে ২০ মার্চ বুধবার সকালে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে ওই নারীর পিতা আব্বাস হাওলাদার। লাশ উদ্ধারের পর হতে পরিবারের সদস্যারা পালাতক রয়েছে। পরে পুলিশ বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর আড়াইটায় চরমোজাম্মেল হতে মামলার ৩ নম্বর আসামী ও ভাশুর সোহেলকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ইকরা উপজেলার কেয়ামুল্যা গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের আব্বাস হাওলাদারের মেয়ে। ৮ মাস আগে বিয়ে হয় চরমোজাম্মেলের দুলাল বাজার এলাকার রফিজলের ছেলে জুয়েলের সাথে। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে বনিবনা না হওয়ায় বিভিন্ন সময় নিহত ইকরা কে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। এজহারে বাদী আরো উল্লেখ করেন, মেয়েকে হত্যার পর দুপুর আড়াইটায় আমাকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আমার মেয়ে মারা গেছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, লাশের গলায় ওড়না পেছানো রয়েছে। তখন আবার জানানো হয়, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়ের আত্মহত্যার বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহ হওয়ায় আমি আমার মেয়ের লাশ দেখি এবং তার গলায় বাম পাশে থুতনির নিচ দিয়া কালো দাগ আছে এবং গলার ডান পাশে থুতনির নিচে সামান্য কালো দাগ ও তার গলার নিচের অংশে নখের আঁচড়ের দাগ দেখিয়া আমি নিশ্চিত হই উল্লেখিত বিবাদীরা আমার মেয়েকে নির্যাতন করিয়া হত্যা করিয়াছে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: