ভোলা সরকারি কলেজে বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব
পিঠার নাম শুনলেই জিভে জল আসে না এমন বাঙালি পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে শীতে পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিছুদিন আগেও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের বাঙলা স্কুল মাঠে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। বাংলার বাহারী ধরনের পিঠার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ভোলা সরকারি কলেজ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। উৎসবে বিভিন্ন স্টলের বাহারী ধরনের পিঠা দেখতে কলেজের প্রবীণ, নবীণ শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় উৎসব জনতা ভীড় জমায়। পিঠা উৎসব আয়োজনে মানুষ আগ্রহ নিয়ে এসে পছন্দের পিঠার সাধ্যের মধ্যে স্বাদ খুঁজে নিচ্ছে বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে। জমে উঠেছিলো পিঠা খাওয়ার ধুম। গ্রাম বাঙলার হারিয়ে যাওয়া বাহারী রঙের পিঠার সেই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ধরে রাখতে এ আয়োজন।
বুধবার ২৮শে ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলা সরকারি কলেজ মাঠে বর্ণিল আয়োজনে একদিনের এ উৎসবে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল গোফুর’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রফেসর জামাল হোসেন, দুলাল ঘোষ, প্রফেসর রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর, প্রফেসর পারভীন আখতার, প্রফেসর গোলাম জাকারিয়া ও প্রফেসর এনায়েত উল্যাহ।
উৎসবে কলেজের সকল অনুষদ অংশগ্রহন করে। এতে হিসাব বিজ্ঞান, সমাজ কর্ম, রাষ্ট্র বিজ্ঞান, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ, ব্যবস্থাপনা, বাংলা বিভাগ, প্রাণী বিদ্যা, অর্থনীতি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃত, ইংরেজি, উদ্ভিদবিদ্যা, গনিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রোভার স্কাউট, যুব রেটক্রিসেন্ট ও একাদশ শ্রেণীসহ প্রায় ২০টি স্টলে বাহারি রঙের পিঠা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
গ্রাম বাঙলার হারিয়ে যাওয়া পিঠা যেমন জিনুক পিঠা, মমো পিঠা, দধি চিতই, সিম পুলি, সমুছা পিঠা, নকসি পিঠা,তারা পিঠা, লাভ পিঠা, প্রজাপতি পিঠা, ফুসকা পিঠা, পাটি সাপটা, ঝার পিঠা, শাহী সূর্যমুখী পিঠা ও সেমাইসহ অনেক ধরনের পিঠা দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও বসন্তের ভালোবাসা নামে বিভিন্ন ধরণের ফুল স্টল ছিল, যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা ফুল নিয়ে বসন্তের উৎসবে মেতে উঠে।
ভুগল ও পরিবেশ বিভাগের স্টলের সহকর্মী বাস্কর হাওলাদার বলেন, বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে সকাল ১০টায় স্টলে এসেছি। বেলা ১টা বাজার সাথে সাথে সকল পিঠা বিক্রি হয়ে গেছে। এতে সেই স্টল থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কলেজের বিভিন্ন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ গান ও নৃত্য পরিবেশন করে পুরো অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখে। অনুষ্ঠানে তালহা তালুকদার বাঁধনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সকল অনুষদের শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
0 coment rios: